জীবিকা নির্বাহ করে বেঁচে থাকতে হলে, আজকের দিনে কম্পিউটার শিখতেই হবে। এই কথাটা আর নতুন করে বলবার কিছু নেই। কম্পিউটারের ব্যবহার এক জন কর্মীর উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। আসলে কম্পিউটার শিক্ষা হল এটা একটা প্ল্যাটফর্ম, জীবন গড়ে নেওয়ার জন্য যে ট্রেনেই তুমি উঠতে চাও না কেন, এই প্ল্যাটফর্মে তোমায় পৌঁছতেই হবে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণের
বর্তমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব । অবাধ তথ্য অধিকার এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ আত্ম নির্ভরশীল, সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সহায়ক। বিশ্ব যেখানে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে বলিয়ান সেখানে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার বেকার যুব সমাজকে আত্ম নির্ভরশীল
কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কম্পিউটারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে শেষ করা অসম্ভব। দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি কাজ মানুষের প্রত্যক্ষভাবে হোক বা পরোক্ষভাবে হোক তা কম্পিউটারের সাথে সম্পর্কিত। বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া দৈনন্দিন জীবনের প্রায় যাবতীয় কাজ অচল। ডিজিটাল বাংলাদেশ এটি স্বপ্ন, একটি প্রত্যয়। কখনই ডিজিটাল সম্বব হবে না,যদি বাংলাদেশের নাগরিকগন কম্পিউটার বিষয়ে বিশদ ধারনা না জানে।
বর্তমানে কম্পিউটারে পরিধি অনেক বড়। প্রাত্যেহিক জীবনের দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক কাজে আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। তাহলে চলুন দেখে নেই কি কি কাজে আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করি…..⏩ ● অফিস আদালতের বিভিন্ন দলিল ও ডকুমেন্ট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। কারণ এটা দীর্ঘস্থায়ী ও নষ্ট বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। ● বিভিন্ন
আধুনিক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি হিসাবে খ্যাত কম্পিউটার। এটি বিজ্ঞানের এক বিস্ময়। কম্পিউটার অর্থ গণনাকারী। সাধারণত যে যন্ত্রের সাহায্যে গণনা করা যায় তাকে কম্পিউটার বলে। এটি ছিল কম্পিউটার বিষয়ক প্রথম প্রচলিত ধারণা। কিন্তু শুধু গণনা করা সংক্রান্ত এ ধারণাটি এখন অচল। কম্পিউটার শুধু গণনাই করে না, এটি বর্তমানে মানবজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। কম্পিউটার ছাড়া যেন
কম্পিউটার শিক্ষা ছাড়া আধুনিক সভ্যতা বিনির্মাণ অসম্ভব। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কম্পিউটার শিক্ষা না থাকলে কর্মক্ষেত্রে অদক্ষ বলেই বিবেচিত হয়। নিচে কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার দিকগুলো তুলে ধরা হলো- ১. ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে প্রযুক্তির কল্যাণকর সুবিধা প্রপ্তি। ২. কর্মক্ষেত্রে শ্রম ও ক্লান্তির বোঝা লাঘব। ৩. সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্র বৃদ্ধি।
কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞান জগৎকে নানাভাবে সাহায্য করছে। আধুনিক জগতে খবরাখবর লেন-দেনের মাধ্যম হিসাবে কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে। রেডিও, টেলিভিশন, টেলিফোন শিল্পে মনিটরিং ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষা-দিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসায়সহ যাবতীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তথ্য সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখছে কম্পিউটার।
গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য আফসানা রহমান মনে করেন, কম্পিউটারকে বলা হয় কী অফ সিভিলাইজেশন, মানে কম্পিউটার হল সভ্যতার চাবিকাঠি। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আপনি কম্পিউটার ছাড়া কিছুই কল্পনা করতে পারবেন না। কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অনেক কঠিন কাজকে অতি সহজে করতে পারছি। যে জাতি যোগাযোগ ব্যবস্থা তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে সে
কম্পিউটার আধুনিক যুগের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি, এক মহান আশীর্বাদ। কম্পিউটার আবিষ্কার মানবজাতির কাছে এক নতুন দিক খুলে দিয়েছে। কম্পিউটার ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। কম্পিউটার মানুষের মেধা ও কায়িক শ্রমকে অনেকাংশে লাঘব করেছে। এর কল্যাণেই অদূর ভবিষ্যতে প্রযুক্তিকে আরও দূর মহাকাশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।