সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বা সংক্ষেপে এসইও (SEO) হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপৃষ্ঠাকে অনুসন্ধান ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদেরঅনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা বা সর্বোচ্চকরন করা যাতে এটি অনুসন্ধান করলে ফলাফলে প্রায়শই দেখা যায়। এসইও কোনো একক কাজ নয়, বরং বহুক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত একটি পদ্ধতি, বলা যায় সমন্বিত পদ্ধতি।
সাধারণত একটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ওয়েব ক্রলার বা সার্চ রোবট বা সার্চ স্পাইডার প্রায় সবসময় ওয়েবে থাকা একটি ওয়েবপৃষ্ঠা অন্য ওয়েবপৃষ্ঠায় ও একই ভাবে এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ায়। এই রোবট বা স্পাইডা্র বা ক্রলারসমূহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিদির্ষ্ট শ্রেণীতে সজ্জিত করে এবং অনুসন্ধান ইঞ্জিন ব্যবহারকারীর খোজকৃত শব্দ বা শব্দগুচ্ছ অনুসারে অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ফলাফল পাতায় প্রদর্শন করে। এই ক্রলার বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করে। বিষয় সমূহকে তিন ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।[১][২] পৃষ্ঠার মধ্যে, প্রযুক্তিগত এবং পৃষ্ঠার বাইরে।
ইন্টারনেট সৃষ্টি এবং ব্যবহার যখন বাড়তে থাকে ঠিক তখন থেকেই মূলত এসইও (SEO)-এর যাত্রা শুরু হয় । যদিও তখন এসইও (SEO)-এর ব্যবহার বা এসইও এলগরিদম বর্তমান অবস্থার মত ছিলো না। যখন ইন্টারনেট এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং এর ব্যবহার ও বাড়তে থাকে তখন সকল ওয়েবসাইটকে সংগঠিত করা বা একত্রিত করে ওয়েবসাইটগুলোতে শ্রেণিবিন্যাস করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে । ঠিক তখনই অনুসন্ধান ইঞ্জিনের উন্নয়ন শুরু হয়ে যায় আর এটি করেন ওয়েবমাস্টারগণ । তারা মূলত অনুসন্ধান ইঞ্জিন ফলাফলের উপর প্রচুর পরিমাণে গবেষণা শুরু করেন এবং এভাবেই অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর যাত্রা শুরু হয়।
১৯৯৫-১৯৯৬ এরপর ১৯৯৫ সালে এসইও প্রথম অফিসিয়ালভাবে যাত্রা শুরু করে। ইয়াহু ডেভেলপারগন সর্ব প্রথম এ্যালফ্যাবেটিক অপটিমাইজেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করেন খুব বেশি সময় নয়, মাত্র ১ বছরেই অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে এসইও এর ব্যাপকতা শুরু হয় । কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি এর উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান ইঞ্জিন এলগরিদম করা হতো তখন ।
১৯৯৮- ২০০৭ এরপর ১৯৯৭ সালের কোন এক সময় ইয়াহু ওয়েবমাস্টার ওয়েবসাইট জমাদান করে। এরপর ১৯৯৮-১৯৯৯ সালের কোন এক সময়ই গুগল জন্ম হয়। তখন গুগল সাম্প রুল শুরু করে এবং এর জন্য গুগল কে নতুন ভাবে এলগরিদম করতে হয়। তবে গুগলের এই সাম্প রুল ভাল ভাবে যাত্রা শুরু করতে আরও প্রায় ২-৩ বছর সময় লেগে যায়। এ সকল সাম্প ট্যাকটিকস নিয়ে ২০০০-২০০৭ সালের দিকে গুগলের এসইও এক্সপার্টরা র্যাংক ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করা শুরু করে। কিন্তু এ সময় কিছু সমস্যা ছিল তখন এসইও এর পুরাতন নিয়ম অনুযায়ী এসইও এক্সপার্টগন তাদের ওয়েবসাইটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনে জমা করতেন এবং ডিরেকটরি টাইপের কিছু লিংক বিল্ডিং করতেন। কিন্তু সমস্যা হল এ নিয়ম অনুযায়ী অনেক লুকানো পৃষ্ঠা সৃষ্টি করা হত এবং কী-ওয়ার্ড স্টাফই এর মধ্যে ছিলো । এ সকল সমস্যার সমাধান করতে অনুসন্ধান ইঞ্জিন গুগল নতুন ভাবে নিয়ে এলো গুগল ক্রলার। অনুসন্ধান ইঞ্জিন এর সাথে ক্রলার সিস্টেম যুক্ত হওয়ার পর এসইও তে কী-ওয়ার্ড স্টাফিং ও কমে আসলো । এভাবে মূলত আধুনিক এসইও এর যাত্রা শুরু হয়।