আফরোজা সুলতানা

  • নাম আফরোজা সুলতানা
  • পদবী সভাপতি
  • প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার
  • ঠিকানা রাধানগর, পাবনা

জীবিকা নির্বাহ করে বেঁচে থাকতে হলে, আজকের দিনে কম্পিউটার শিখতেই হবে। এই কথাটা আর নতুন করে বলবার কিছু নেই। কম্পিউটারের ব্যবহার এক জন কর্মীর উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। আসলে কম্পিউটার শিক্ষা হল এটা একটা প্ল্যাটফর্ম, জীবন গড়ে নেওয়ার জন্য যে ট্রেনেই তুমি উঠতে চাও না কেন, এই প্ল্যাটফর্মে তোমায় পৌঁছতেই হবে।

 

কম্পিউটার প্রশিক্ষণের গুরুত্ব

বর্তমানে বিদেশ ভ্রমণে কথোপকথনের অন্যতম মাধ্যম ইংরেজি ভাষা। এটি আন্তর্জাতিক ভাষা। আর কম্পিউটারকে বলা হয় আধুনিক সভ্যতার চাবিকাঠি। এর ভাষাও ইংরেজি। এ জন্য ইংরেজি ও কম্পিউটারের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। চাকরির বাজারেও রয়েছে এ দুটোর ব্যাপক চহিদা। সুতরাং ইংরেজি ও কম্পিউটার শিক্ষায় রয়েছে আপনার ক্যারিয়ারে সফলতার উজ্জ্বল হাতছানি। বিস্তারিত জানাচ্ছেন গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর পরিচালনা কমিটির সভাপতি আফরোজা সুলতানা- বিদেশে ভাষার চাহিদা বেশি। আর কম্পিউটারে রয়েছে শেখার একাদিক বিষয় যেমন, এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, সিমুলেশন ও এনিমেশনসহ শেখার আছে অনেক কিছু।কোথায় শিখবেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত বেসিক ট্রেডসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেন্টার ও কোচিং সেন্টারে কম্পিউটার ওপর ১ বছর, ৬ মাস ও ৩ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আর কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত বেসিক বিভিন্ন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। এছাড়া আমাদের দেশে একাদিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটারের ওপর সল্প মেয়াদি (৬ মাস ও ৩ মাস) প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, দূতাবাস ও বিদেশে চাকরি নেয়ার ক্ষেত্রে কম্পিউটার শিক্ষা একটি অপরিহার্য । বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহারের জন্য আপনাকে অবাশ্যই কম্পিউটার ভালো দক্ষ হতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে ।এমন কোনো কর্পোরেট হাউস নেই যেখনে কম্পিউটার ম্যানের প্রয়োজন নেই।চাকরির সুবিধাদেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং দেশী ও বিদেশী ব্যাংকে উচ্চ বেতনে চাকরির সুব্যবস্থা আছে। বিসিএস-এর বিভিন্ন ক্যাডারেও ভালো কম্পিউটার জানা শিক্ষার্থীদের রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা। আর কম্পিউটার জানা লোকদের তো রয়েছে বহুমুখী কাজের অফুরন্ত সুযোগ। এই সেক্টরে দুই ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। একটি সরকারি অন্যটি বেসরকারি। সরকারি খাতগুলো বিশেষ করে পরমাণু শক্তি কমিশন, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম, ই-গর্ভরনেন্স, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন, রেল যোগাযোগ, বিটিসিএল, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, একাদিক মোবাইল কোম্পানি, টেলিভিশনের নেটওয়ার্কিং সেক্টর, বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান, অনলাইন মিডিয়াতে নিউজ পোস্ট, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ডেক্সটপ পাবলিশিংয়ে বিভিন্ন বই লেখা, ছাপানো, সফটওয়ার ফার্ম, বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের আইটি সেক্টরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে আপনি চাকরির সুযোগ পেতে পারেন।আয়-রোজগারবর্তমানে কম্পিউটার খাত একটি শিল্প। এ শিল্প বিকাশে প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাবী ও দক্ষদের নিয়োগ দিয়ে আকর্ষণীয় বেতন প্রদান করে থাকে। এখানে আপনি স্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে শুরুতেই মাসে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা, প্রতিষ্ঠান ভেদে এর পরিমাণ ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকাও হতে পারে। আর পরে মাসে ১ লাখ থেকে ৪/৫ লাখ টাকাও আয় করা সম্ভব। এছাড়া পার্টটাইমে কাজ করে আপনি মাসে অন্তত দশ হাজারের মতো টাকা আয় করতে পারবেন। সবকিছু মিলে এখানে রয়েছে পদোন্নতির পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ।সফলতা পেতে হলেসব পেশাতেই সফল হতে অতিরিক্ত কিছু গুণ থাকা চাই। আপনাকে হতে হবে উদ্যমী, সাহসী ও কঠোর পরিশ্রমী।

 

আমাদের দেশে চাকরির চেয়ে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। এ জন্য ভালো মানের আকর্ষণীয় বেতনের একটি চাকরির জন্য আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন পত্রিকার জব লিংকের সঙ্গে আ্যড হতে পারেন। আর এক্ষেত্রে যুগান্তরের ‘চাকরির খোঁজ’ পেইজটি হতে পারে একান্ত সহযাত্রী। গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর পরিচালনা কমিটির সভাপতি আফরোজা সুলতানা বলেন, কম্পিউটারকে বলা হয় কী অফ সিভিলাইজেশন, মানে কম্পিউটার হল সভ্যতার চাবিকাঠি। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আপনি কম্পিউটার ছাড়া কিছুই কল্পনা করতে পারবেন না।  কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অনেক কঠিন কাজকে অতি সহজে করতে পারছি। যে জাতি যোগাযোগ ব্যবস্থা তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে সে জাতি তত উন্নত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে কম্পিউটার শিক্ষা আজ মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো যেমন মালোয়ে

শিয়া তাদের জাতীয় বাজাটের সিংহভাগ বরাদ্দ করে এই খাতে। এজন্য আমাদের সরকারের উচিত জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ কম্পিউটার শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা। তাহলে আমাদের দেশ আরও উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে। শেখ হাশিনার অঙ্গীকার ঘরে ঘরে কম্পি

উটার ? জীবিকা নির্বাহ করে বেঁচে থাকতে হলে, আজকের দিনে কম্পিউটার শিখতেই হবে। এই কথাটা আর নতুন করে বলবার কিছু নেই। শুধু যে কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজ করতে হলেই কম্পিউটার ব্যবহার প্রয়োজন, তা নয়। যে কাজ কম্পিউটার-নির্ভর নয়, সেখানেও কম্পিউটার জানা একটা অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়। গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন কোর্স করে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবেন আমি ১০০% আশা রাখি।